রাত্রিবিলাস

রাত (মে ২০১৪)

মারুফ ইসলাম জয়
এখন মধ্যরাত্রি আমার মতো কয়েকটা নিশাচর ছাড়া সবাই গভীর নিদ্রায় মগ্ন । বাইরে দূর থেকে কয়েকটা নেড়ি কুকুর ঘেউ ঘেউ করে ডেকে চলছে । কুকুরের ডাক নাকি অশুভ আর যদি সেটা মদ্ধরাত্রির হয় তাহলে তো কথাই নেই। যেসব প্রাণীর বুদ্ধিমত্তা কম হয় তাদের দৃষ্টিশক্তি নাহয় তাদের ঘ্রাণশক্তি বেশি। কুকুরের আবার দুটোই বেশি। মানুষ বুদ্ধিমান তাই তাদের কোনটাই প্রখর না। প্রকৃতি ভারসাম্য পছন্দ করে, তাই কাউকেই সে সম্পূর্ণ পূর্ণতা দেয় না। কি বিচিত্র প্রকৃতির খেলা। মাঝে মাঝে রাস্তায় গর্জন করে উঠছে কয়েকটা গাড়ি অনেকক্ষণ পর একটা গাড়ি তারপর আবার নিস্তব্ধতা। বেশির ভাগ গাড়িই হয় ট্রাক নাহয় পিক আপ টাইপের। রাতে গাড়ির শব্দ ভালভাবে বোঝা যায়। ড্রপলার ইফেক্ট নামে একটা ইফেক্ট আছে যেটা রাতে ভালভাবে বোঝা যায়। অই বিজ্ঞানী মনে হয় নিশাচর ছিলেন,নাহলে বিষয়টা তার মাথায় আসার কথা না। আর গাড়ির লাইটের দিকে তাকালে মনে হবে গাড়ি স্থির দাঁড়িয়ে আছে ।অনেক্ষন পর শব্দ শোনা যাবে ।প্রথমে আলো তারপর শব্দ ।অনেকদুরের একটা গাড়ির প্রথমে আলো চোখে পড়বে তখন মনে হবে গাড়িটা থেমে আছে ,তারপর গাড়ির শব্দে চৈতন্য ফিরবে চালকের। অনেকদিন পর আজকে পেঁচার ডাক শুনলাম ।রাতে পেঁচা খুব একটা দেখা যায় না, তবে মাঝে মাঝে চোখে পরে। পেঁচার গায়ের রঙ আর গাছের রঙ প্রায় একই ।প্রথমে তাই পেঁচা চোখে পরবে না, চোখে পরবে পেঁচার চোখ । অসম্ভব শান্ত নীরব পেঁচার চোখ,যে প্রথমে দেখবে সে দেখবে তার দিকে তাকিয়ে আছে, আগে যদি সে কখনো পেঁচা না দেখে তাহলে তো কথাই নেই নিশ্চিত ভূত ভেবে ভুল করবে। পেঁচার চোখে একটা সিরিয়াল কিলার টাইপ ভাব আছে। তার শিকারের ভঙ্গিও অদ্ভুত প্রায় নিঃশব্দে শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে । দিনে পেঁচা দেখলেই ভয় লাগে আর রাতে ,অনেকক্ষণ থেকে ঝিঁ ঝিঁ পোকা ডেকে চলছে। আমি এদের ডাকের নিরব শ্রোতা ।এদের ডাকের একটা মাদকতা আছে,অনেক্ষন কানে রেশ থেকে যায় ।একসাথে অনেক পোকা ডাকে একদল থামে, আবার আরেকদল শুরু করে। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক অনেকটা মিউজিকের মতো। পোকাটা দেখতে অনেক ছোট এতো ছোট পোকা যে এতো জোরে ডাকতে পারে কল্পনা করা যায় না। আজকে আবার জোসনা রাত। চান্নি পসর রাতে কেউ আমায় স্মরণ করে গানটা বারবার মাথায় বাজতেসে। আমার ধারণা মেয়েলি কণ্ঠে গানটা শুনতে হবে , কোনও বনে যেখানে চাঁদের আলো আর গাছের ছায়া মিলে এক হয়ে যাবে । মেয়েটা গান গাবে কিন্তু তার মুখ দেখা যাবে না ।তাহলে একদম পারফেক্ট হবে।শরতের আকাশের মতো স্বচ্ছ নীলাভ আকাশ যেন বাস্তব নয় রুপকথা। সাদা মেঘেদের দল যেন মেঘ সম্রাজ্য নিয়ে একদেশ থেকে আরেকদেশে পাড়ি জমায় । চাঁদের সাথে চলে মেঘেদের খুনসুটি । জোসনার আলোয় যেন আলোর বন্যা নামে পৃথিবীতে,সবকিছু তখন অপার্থিব মনে হয় । মনে হয় এই বুঝি পরীরা নামলো আকাশ থেকে। জোসনা রাত অসম্ভব সুন্দর সাধারণ জিনিসও সুন্দর দেখায় ।আজকে না আরেকদিন দেখব জোসনা ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আখতারুজ্জামান সোহাগ দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন একটা রাতের চিত্র। সাথে দিয়েছেন কিছু তাক লাগানো তথ্য, যেগুলো একজন সত্যিকারের চিন্তাশীল নিশাচর মানুষের পক্ষেই সম্ভব। ভালো লেগেছে আপনার উপস্থাপনা।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু চমৎকার বর্ণনা। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
আপেল মাহমুদ ভালো লাগলো আপনার গোছানো লেখাটি।
Gazi Nishad অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম। আমন্ত্রণ রইলো আমার কবিতায়।
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর একটি গল্প ।।

১২ এপ্রিল - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪